তিনি বলেন, বঙ্গবাজার, নিউমার্কেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিয়ত অগ্নিকাণ্ড ঘটছে। দুর্ঘটনার পরপরই তদন্ত কমিটি গঠন হয়। অথচ কোনো এক অজানা কারণে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট গুলো অজানাই থেকে যায়।
রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এসময় অগ্নি দুর্ঘটনায় নিহতদের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের পরিবার-পরিজন ও যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির ও অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি কামাল হোসাইন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী প্রচার সম্পাদক আশরাফুল আলম ইমন, সহকারী অফিস সম্পাদক আব্দুস সাত্তার সুমন, সহকারী সমাজকল্যাণ সম্পাদক শাহীন আহমদ খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য অ্যাডভোকেট মাহফুজুল হক চৌধুরীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেন, আল্লাহ মানুষকে বিপদে ফেলে পরীক্ষা করেন। সেই কঠিন বিপদ ও মুসিবতের সময় ধৈর্য্য বা সবরের মাধ্যমে আমাদের আল্লাহ তায়ালার সাহায্য চাইতে হবে। হাদিসে অগ্নিকাণ্ডসহ এধরনের দুর্ঘটনায় যারা নিহত হন তাদেরকে শহীদ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। দেশের যেখানেই কোনো দুর্ঘটনা ঘটছে আমরা জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ হতে ছুটে গিয়েছি, ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক খোঁজখবর নিয়েছি, সীমিত সামর্থ্যের আলোকে সহযোগিতা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ভাই-বোনের পাশে দাঁড়িয়েছি। তিনি বলেন, বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল রাত থেকেই আমাদের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেচ্ছাসেবক টিম কাজ করে যাচ্ছে। আমরা ১০টি অ্যাম্বুলেন্সে সম্পূর্ণ ফ্রি সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক খোঁজখবর অব্যাহত রেখেছি প্রয়োজনে আর্থিক সহযোগিতাসহ অন্যান্য সেবা নিয়ে তাদের কাছে পৌঁছে যাবো।
তিনি বলেন, এই অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করে তার প্রতিকারের দায়িত্ব হলো সরকার ও তার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর। আমরা প্রত্যাশা করি সরকার এর কারণ অনুসন্ধান ও তার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
অগ্নিনির্বাপণের জন্য অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও তার যথার্থ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এজাতীয় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে ভবন নির্মাণে প্রয়োজনীয় কানুনগুলো যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।