গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি জরুরি বিভাগে পুলিশ সহায়তায় এক ভদ্রলোক একটি আনুমানিক বছর দশকের অজ্ঞান বাচ্চাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন।
২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি জরুরি বিভাগে পুলিশ সহায়তায় এক ভদ্রলোক একটি আনুমানিক বছর দশকের অজ্ঞান বাচ্চাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন।
ভদ্রলোক এবং পুলিশ সদস্যের ভাষ্য অনুযায়ী বাচ্চাটিকে রেল লাইনের পাশে অজ্ঞান এবং আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। অজানা রোগী হিসেবে রেজিস্টার্ড করেই
বাচ্চাটিকে নিউরো সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়। ভর্তিকালীন বাচ্চাটির জ্ঞানের মাত্রা, সাথে আনুষঙ্গিক আঘাতের চিহ্ন এবং শারীরিক পরীক্ষা করে ধারণা করা হয় বাচ্চাটির মাথায় আঘাত রয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে মধ্যম মানের মাথায় আঘাত বলা চলে।
পরবর্তীতে ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আসাদুজ্জামান সহায়তায় বাচ্চাটির মস্তিষ্কের সিটিস্ক্যান করা হলে, মাথার হাড় ডেবে গিয়ে মস্তিষ্কে আঘাত পরিলক্ষিত হয়। রোগীর শারীরিক অবস্থা এবং সিটিস্ক্যান দেখে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম'র নেতৃত্বে ঢামেক হাসপাতাল নিউরোসার্জারি বিভাগের পিঙ্ক ইউনিটের চিকিৎসক সহকারি অধ্যাপক ডা. রাশিদুল হাসান, রেজিস্ট্রার ডা. পুলক কুমার বিশ্বাস, আই এম ও ডা. শুভ্র সাহা এবং ডা. ইফতেখারুল আলম মারুফ অস্ত্রোপচারেরটি সম্পন্ন করেন। এনেস্থেসিয়ায় ছিলেন ডা. আবুল খায়ের নজরুল।
মস্তিষ্কের এই জটিল অস্ত্রোপচারটি(মাথার হাড় এবং মস্তিষ্কের পর্দায় আঘাত) কোন ধরনের জটিলতা ছাড়াই সম্পন্ন করা সম্ভব হয়। সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের আপ্রাণ চেষ্টায় ২দিন পরে বাচ্চাটির জ্ঞান ফিরে আসে। চিকিৎসক,নার্স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তায় বাচ্চাটির পিতা-মাতার খোঁজ পাওয়া যায় এবং বৃহস্পতিবার বাচ্চাটিকে তার পিতামাতার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এ জাতীয় আরো খবর..